৬.১ জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের চাহিদা তথা বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে ও
বিশ্বব্যাপী এর জনপ্রিয়তা তৈরি হচ্ছে। বাস্তবতা বিবেচনায় অনেক উন্নয়নশীল দেশ
রাসায়নিক কৃষি ব্যবস্থা থেকে জৈব কৃষি ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে এবং তদনুসারে
'জাতীয় জৈব কর্মসূচি' প্রণয়ন করছে। বাংলাদেশে জৈব কৃষির এক বিশাল সম্ভাবনা
রয়েছে। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক জৈব বাজারের সুযোগকে কাজে
লাগাতে হবে। এ প্রেক্ষিত বিবেচনায় কৃষক, গবেষক, সম্প্রসারণবিদ, নীতি নির্ধারক ও
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের প্রায়োগিক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে “জাতীয় জৈব কৃষি নীতি-
২০১৬” প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতির সঠিক প্রয়োগে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই
কৃষিব্যবস্থা ও রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
৬.২ “জাতীয় জৈব কৃষি নীতি ২০১৬" এর কোন বিষয় “জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৩” এর
সাথে সাংঘর্ষিক হলে তা “জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৩” এর আলোকে সমন্বয় করা হবে।